খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে লায়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজে নারীদের ভোটকেন্দ্রের মোট ভোটার ১ হাজার ৯৯৩ জন। আজ সোমবার সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরুর পর প্রথম ৩০ মিনিটে এই কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন ১৮ জন। অর্থাৎ ভোট গ্রহণ শুরুর প্রথম আধা ঘণ্টায় কেন্দ্রটিতে ১ শতাংশও ভোট পড়েনি।
নারীদের কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মহিবুল্লাহ আল কাফি প্রথম আলোকে বলেন, ‘সকালে নারীদের চাপ কম থাকে। কারণ, তাঁরা রান্নাবান্নাসহ ঘরের কাজে ব্যস্ত থাকেন। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টার দিকে আশা করছি ভোটারদের চাপ বাড়বে।’
লায়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজে পুরুষদেরও একটি কেন্দ্র রয়েছে। এই ভোটকেন্দ্রে মোট ভোটার ১ হাজার ৯৬১। ভোট গ্রহণ শুরুর পর প্রথম ৩০ মিনিটে কেন্দ্রটিতে ৪১ জন ভোট দিয়েছেন। ভোট দেওয়ার হার ২–এর মতো।
পুরুষ ভোটারদের জন্য কেন্দ্রটিতে ছয়টি কক্ষ রয়েছে। সকাল সাড়ে আটটায় সরেজমিন দেখা যায়, কোনো কক্ষের সামনেই ভোটারদের ভিড় নেই। সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টরা ভোটারদের জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন।
নারীদের ছয়টি কক্ষের সামনে গিয়েও একই চিত্র দেখা গেছে। এ কেন্দ্র খুলনা সিটি করপোরেশনের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে পড়েছে। এখানে কাউন্সিলর পদে দুজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ভোট দেওয়ার পর আরামবাগ এলাকার মিনা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সকাল থেকেই ভ্যাপসা গরম। ভিড় এড়াতে এবং ঠান্ডা মাথায় পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে সকাল সকাল চলে এসেছি।’
এর আগে সকাল পৌনে আটটায় এই কেন্দ্রে দেখা যায়, সাতজন পুরুষ ভোটার লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। নারীদের কেন্দ্রের সামনে তিনজন ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন।
লায়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজে পুরুষ ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কমলেশ বালা প্রথম আলোকে বলেন, ভোটার উপস্থিতি সকাল ১০টা থেকে বাড়তে পারে।