মানিকগঞ্জে আব্দুল মজিদ নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করেছেন।
হরিরামপুর উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কালই গোপালপুর কমিউনিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি জতীয়করন হলেও সেখানে এমপিওভূক্ত শিক্ষক না থাকায়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস বর্তমানে গোপিনাথপুর মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল মজিদকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়। দায়িত্বপালনকালে চতুরতার আশ্রয় নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের উপবৃত্তির তালিকায় আব্দুল মজিদ তার ও তার পরিবারের বিভিন্ন লোকের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর অন্তর্ভূক্ত করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ করেন।
এরপর ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরে দায়িত্ব পান ইভা দাস। উপবৃত্তির নম্বর যাচাই বাছাইয়ের এক পর্যায়ে আব্দুল মজিদের অপকর্ম প্রকাশ পায়। প্রধান শিক্ষক ইভা দাস উপবৃত্তির অর্থ আত্মসাৎ ও অনিয়মের বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস বরারবর লিখিত অভিযোগ করেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিস প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেয়ে জেলা শিক্ষা অফিসকে অবহিত করলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গত ১১ জুলাই শিক্ষক আব্দুল মজিদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে গোপিনাথপুর মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল মজিদ বলেন, জেলা শিক্ষা অফিসার তদন্তের জন্য আমাকে ডেকেছিলেন। আমি তার কাছে সমস্ত কাগজপত্র জমা দিয়েছি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, শিক্ষক আব্দুল মজিদের বিরুদ্ধে উপবৃত্তিতে অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।
শিক্ষক আব্দুল মজিদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হলেও তার বেতনভাতা চালু থাকায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে সচেতন মহল।