1. smsitservice007gmail.com : admin :
তানোর আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বপনের ইমেজ সঙ্কট - সতেজ বার্তা ২৪
শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২২ অপরাহ্ন
শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২২ অপরাহ্ন

তানোর আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বপনের ইমেজ সঙ্কট

তানোর রাজশাহী প্রতিনিধিঃ
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৯১ বার পঠিত

রাজশাহীর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের মাঝে ফের মতবিরোধ প্রকট আকার ধারণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে দলের আদর্শিক, ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীদের হৃদয়ে হচ্ছে রক্তক্ষরণ।
জানা গেছে, তানোরে দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর পর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে মাইনুল ইসলাম স্বপনকে সভাপতি ও প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকারকে সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। স্থানীয়রা বলছে, তৃণমুলের দীর্ঘদিনের দাবি সদর ভিত্তিক নেতৃত্ব সেটা প্রদিপ সরকারকে দিয়ে কিছুটা হলেও পুরুণ হয়েছে। তবে জনবিচ্ছিন্ন-বিতর্কিত ও গ্রহণযোগ্যহীন স্বপনকে সভাপতি করা তারা কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। তারা বলছে, এতে দলে কোন্দল বৃদ্ধি, সংহতি ও ঐক্য নষ্ট হয়েছে। স্বপনকে চাপিয়ে দেয়া সভাপতি গণ্য করে রাজনৈতিক অঙ্গনে দেখা দিয়েছে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া।
স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের ভাষ্য, নানা কারণে নেতাকর্মীর কাছে সাবেক সভাপতি গোলাম রাব্বানীর অপরাধ থাকতেই পারে, তবে সেই অপরাধের পরিমাণ এতো বেশী না যে স্বপনের মতো ব্যক্তিকে দলের সভাপতি করতে হবে। স্বপনকে সভাপতি করে দলকে দুই ভাগে বিভক্তের স্বীকৃতি দেয়া হলো বলে তারা মনে করছেন।  নৌকার অভয়ারণ্যে যেই ব্যক্তি নৌকা নিয়ে নির্বাচন করে প্রায় প্রত্যেক কেন্দ্রে পরাজিত হয়। তাকে সভাপতি করা আর নিজের পায়ে কুড়াল মারা একই কথা।
জানা গেছে,তানোরের কলমা ইউনিয়ন পরিষদের  (ইউপি) উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী ও উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার আর্শিবাদে মাইনুল ইসলাম স্বপন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু  বিজয়ী হবার পর পরই তিনি দলের আদর্শিক ও মুলধারার নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটিয়ে এমপি ও নৌকাবিরোধী শিবিরের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন বলে তৃৃৃণমুলের নেতাকর্মীদের মাঝে আলোচনা রয়েছে।
স্থানীয় নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের অভিমত, স্বপনের কারণেই আওয়ামী লীগের আঁতুড় ঘর কলমা যেখানে প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগ মতাদর্শী সেই কলমা ইউপিতে নৌকার লজ্জাজনক পরাজয় ঘটেছে, একই সঙ্গে দলীয়কোন্দল ও মতবিরোধ প্রকট আকার ধারণ করে ভেঙ্গে পড়ে দলের চেইন অব কমান্ড বিরাজ করে হ-য-ব-র-ল পরিস্থিতি। তারা মনে করেন এমন বিতর্কিত একজন মানুষের হাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব কোনো ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। তারা বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শরীফ খাঁন, খাদেমুন নবী বাবু চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না এসব পরীক্ষিতদের  হাতে নেতৃত্ব দিলে অন্তত্ব এমন সমালোচনার সুযোগ ছিল না।
আওয়ামী লীগ মতাদর্শী সাধারণ মানুষের ভাষ্য আওয়ামী লীগের আঁতুড়ঘরে নৌকা নিয়ে যেই ব্যক্তি প্রত্যেক ভোটকেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়। তার তো নিজের একটা আত্মসম্মানবোধ থাকা প্রয়োজন। তার জনপ্রিয়তা বা রাজনৈতিক দক্ষতা কতটা সেটা সহজেই অনুমান করা যায়। এমন ব্যক্তিকে দলের সভাপতি করা মোটেই ঠিক হয়নি। এবিষয়ে জানতে চাইলে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আওয়ামী লীগে কোনো মতবিরোধ নাই,সাংসদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, যারা আওয়ামী লীগের ভালো চাই না তারা এসব প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।#

এ জাতীয় আরও খবর
Translate »