তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরে বনিক সমিতির নাম ভাঙিয়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকা মুল্যর ভিপি সম্পত্তি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে। তানোর পৌরসভার তালন্দ বাজার এই ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় বাজার এলাকায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, তানোর পৌরসভার জেল নম্বর ১৫৬, মৌজা তালন্দ, আরএস খতিয়ান নম্বর ৩১৬, আরএস দাগ নম্বর ১০৯৫, পরিমাণ ৩ শতক, শ্রেণী ধানী।তানোর-চৌবাড়িয়া আঞ্চলিক সড়কের তালন্দ বাজার সম্পত্তির অবস্থান। উক্ত সম্পত্তির পিছনের সম্পত্তির স্বত্বাধিকারী তালন্দ কলেজ পাড়া মহল্লার মৃত হামিদুর রহমানের পুত্র সাফায়াত হোসেন মাবুদ। ফলে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সামনের তিন শতক ভিপি সম্পত্তি লীজ গ্রহণের আবেদন করে দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর যাবত শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগদখল করে আসছেন মাবুদ পরিবার। কিন্ত্ত উক্ত সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে একটি ভুমিগ্রাসী চক্র নানা অপতৎপরতা শুরু করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার সূর্যদয়ের আগে তালন্দ বাজার বনিক সমিতির সভাপতি ও সুমাসপুর গ্রামের মৃত ওবুরুল্লাহ চৌকিদারের পুত্র জাশায়াত ইব্রাহিম হোসেনের নেতৃত্বে, কয়েকজন ব্যক্তি (যাদের অধিকাংশ মাদকাসক্ত) লাঠিসোঁটা নিয়ে সেখানে বাঁশের খুঁটিত ব্যানার ঝুলিয়ে বাঁশের খুঁটি পুঁতে সম্পত্তি জবরদখল করেছে। অথচ নীতিমালা অনুযায়ী রাস্তার ধারে যদি পিছনে কারো জায়গা থাকে তাহলে সামনের খাস বা ভিপি সম্পত্তি লীজের অগ্রাধিকার তার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, এখানে ব্যবসায়ীর নাম ভাঙিয়ে ইব্রাহিম আলী ওই জায়গার দখল নিতে চাচ্ছে। তারা বলেন, সরকারি সম্পত্তি জবরদখলের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করা উচিৎ কর্তৃপক্ষের। তারা বলেন, এক সময়ের দিনমজুর ইব্রাহিম হোসেনের উঙ্খান রুপকথার গল্পকেও হার মানিয়েছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে সাফায়াত হোসেন মাবুদ বলেন, তার পিতা প্রয়াত হামিদুর রহমান বাজার বনিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। জায়গাটির পিছনে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি রয়েছে, দীর্ঘ সময় ধরে তারা ভোগদখল করে আসছেন, এমনকি লীজ গ্রহণের জন্য আবেদন করাও আছে। কিন্ত্ত হঠাৎ করে বনিক সমিতির সভাপতি ইব্রাহিম দলবল এনে খুটি ও ব্যানার মেরে জবরদখল করেন। তবে সন্ধ্যার আগে উপজেলা প্রশাসন থেকে লাল নিশানা দিয়ে গেছেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে তালন্দ বাজার বনিক সমিতির সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন বলেন, তারা কয়েকদিন আগে জানতে পেরেছেন ১৫৬ নম্বর তালন্দ মৌজার ৩১৬ নম্বর আরএস খতিয়ানে ১০৯৫ নম্বর আরএস দাগে তিন শতক ভিপি জমি রয়েছে, তাদের বনিক সমিতির কোন বসার জায়গা নেই, যার কারনে আলোচনা করে সোমবার সকালে কিছু বাঁশের খুটি ও ব্যানার সাটিয়েছি। আপনারা কি ভূমি অফিস থেকে অনুমতি নিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা মৌখিকভাবে অনুমতি চেয়েছি, কে অনুমতি দিয়েছেন প্রশ্ন করা হলে কোন উত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, ঘর করা হবে প্রশাসন নিষেধ করলে করবোনা, দশের জন্য ঘর এখানে অনুমতি নেয়ার কি আছে। তিনি বলেন, মঙ্গলবার লীজের জন্য আবেদন করা হবে। লীজ না নিয়ে আগে দখল করা যায় কিনা জানতে চাইলে সভাপতি বলেন এটাতো কারো বা কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে না তাহলে অনুমতির প্রশ্ন আসছে কেনো। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার আমানত আলী বলেন, সেখানে নির্মাণকাজ বন্ধ ও লাল নিশানা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এবিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।