1. smsitservice007gmail.com : admin :
আওয়ামী লীগে আদর্শিক নেতৃত্বের কবর তৃণমূলে আর্তনাদ - সতেজ বার্তা ২৪
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৩ অপরাহ্ন
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৩ অপরাহ্ন

আওয়ামী লীগে আদর্শিক নেতৃত্বের কবর তৃণমূলে আর্তনাদ

 রাজশাহী প্রতিনিধিঃ
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ২০৬ বার পঠিত

রাজশাহী প্রতিনিধিঃ


রাজশাহীর তানোরে একশ্রেণীর পরিবার কেন্দ্রিক ক্ষমতাধরদের আর্শিবাদে একশ্রেণীর  অনুপ্রবেশকারী,মতলববাজ,  হোমড়াচোমরা ও তল্পিবাহকেরা আওয়ামী লীগের আদর্শিক নেতৃত্বের কবর রচনা করে পরীক্ষিতদের ছুড়ে ফেলে নিজেরা দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ বাগিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অনেকে বলছে, একশ্রেণীর তল্পিবাহকদের দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়ে অনেক আগেই আদর্শিক নেতৃত্বের কবর রচনা করছে। এখন এসব অনুপ্রবেশকারি মতলববাজদের  হাতেই একচ্ছত্র আধিপত্য দিয়ে সেই কবরে মোজাইক পাথর বসানো শুরু হয়েছে। তৃণমূলের  দুঃখ ও আর্তনাদ এভাবে চলতে থাকলে আগামিতে আওয়ামী লীগের জন্য অশনিসংকেত অপেক্ষা করছে। কিন্তু কেনো আওয়ামী লীগ মানে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এর বাইরে যারা আছে তারা সবাই আমজনতা। ফলে এই দলে একজন এমপি, মেয়র, উপজেলা বা ইউপি চেয়ারম্যানের যতটুকু গুরুত্ব তৃণমুলের একজন পাফাঁটা কর্মীরও সেই গুরুত্ব। কারণ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ছায়া ব্যতিত তাদের কোনো ক্ষমতা বন অস্থিত্ব নাই। আবার আওয়ামী লীগের বিপরীতে অবস্থান তাদের কারো দাঁড়িয়ে থাকার সক্ষমতা নাই। তাহলে ক্ষমতাধরদের কিসের এতো বাহাদুরি-দাপট ? তৃণমুলের অভিযোগ, একশ্রেণীর ক্ষমতাধরেরা নিজের আখের ও  ক্ষমতাকুক্ষিগত করতে বশংবদ সৃষ্টি এবং আদর্শিক নেতৃত্বের কবর দিয়ে আওয়ামী লীগকে তল্পিবাহক ও অনুপ্রবেশকারী নেতৃত্ব নির্ভর করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে । ফলে রাজনীতি আর রাজনীতিবিদদের হাতে নাই চলে যাচ্ছে ব্যবসায়ী, আমলা ও বিত্তশীল বেনিয়া এমনকি বাড়ির কামলা বা নেতার দেহরক্ষীদের হাতে।  অথচ ছুড়ে ফেলা হয়েছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি ও কলমা ইউপি চেয়ারম্যান খাদেমুন নবী বাবু চৌধুরী, তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেয়র ইমরুল হক, মুন্ডুমালা পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মেয়র সাইদুর রহমান, তালন্দ ইউপি আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও চেয়ারম্যান নাজিমুদ্দিন বাবু, সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, সরনজাই ইউপি আওয়ামী লীগের (সাবেক) সভাপতি ও চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মন্ডল, সাবেক সম্পাদক আনোয়ার সাদাত প্রমুখ। ঠঁক বাছতে গাঁ-উজাড় পরিস্থিতি। আবার উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান পরিক্ষিত  জনবান্ধব নেতৃত্ব লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নাকে কোনঠাসা করা হয়েছে। রাজনৈতিক মাঠের পরীক্ষিত এমন হাজারো নেতাকর্মীকে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে। এসব কারণে সাংগঠনিক দুর্বলতার পাশাপাশি দলে বাড়ছে কলহ-বিবাদ ও মতবিরোধ। মাঠ পর্যায়ে দলটির বিপুল জনসমর্থন থাকার পরেও কেবলমাত্র আদর্শিক নেতৃত্ব সংকটের কারণে সেই সুফল ঘরে তুলতে পারছে না মনে করছে তৃণমুল।অধিকাংশ ক্ষেত্রে গেছে, ক্ষমতাধরদের বাড়ির আমলা-কামলা-পাইট-কৃষানেরাও এখন অনেক বড় নেতা। অভিযোগ রয়েছে, জামায়াত-বিএনপি মতাদর্শীদের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ,চাকরি, ঠিকাদারী ব্যবসা, খাসপুকুর, গভীর নলকুপ অপারেটর ইত্যাদি লাভজনক পদে বসিয়ে মোটাতাজা করা হচ্ছে। আর ছিটকে পড়েছে আওয়ামী লীগের তৃণমুলের দুর্দীনের পরীক্ষিত ও নিবেদিতপ্রাণ ত্যাগী মুজিব সৈনিকেরা যাদের ত্যাগ ও রক্ত ঘামে আওয়ামী লীগ আজ এই পর্যন্ত এসেছে। অথচ তাঁরাই আজ বড় অসহায়। অধিকাংশক্ষেত্রে তাদের ঘরে খাবার নাই, ছেলেমেয়েদের চাকরি নাই, চিকিৎসা করানোর অর্থ নাই, নাই কোনো লাভজনক পদ সামনে শুধুই হাহাকার। বিপদে পড়লে কোনো নেতার সান্নিধ্যে এমনকি ফোনে যোগাযোগ করতে পারে না। তাহলে এই মানুষগুলো কার কাছে যাবে, না আওয়ামী লীগ করায় তাদের অপরাধ। অথচ স্থানীয় সাংসদের অবৈধ অর্থল্পিসা নাই সেটা সবাই জানেন।  এখানো তিনি রাজনৈতিক সহাবস্থান ও কর্মী-জনবান্ধব নেতৃত্ব হিসেবে সবার কাছে সমান জনপ্রিয় ও অপ্রতিদন্দী নেতৃত্ব, তার কোনো বিকল্প নাই। কিন্ত্ত একশ্রেণীর জনবিচ্ছিন্ন মতলববাজদের অহমিকা, তাচ্ছিল্যতা ও অসৌজন্যমূলক আচরণের কারণে দিন দিন নেতাকর্মীরা এমপিবিরোধীদের পথে হাঁটছে। আওয়ামী লীগের এমপি, উপজেলা  চেয়ারম্যান মেয়র, ইউপি চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলর-মেম্বার। তার পরেও এসব মতলববাজদের অরাজনৈতিক আচরণে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা এদের বয়কট করে ভিন্ন পথ অনুসরণ করছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। এদিকে সাধারণ নির্বাচনের আগ মুহুর্তে অল্প সময়ের মধ্যে একশ্রেণীর বির্তকিত জনবিচ্ছিন্ন মতলববাজ তাদের মনোবাসনা পুরুণ ও রাতারাতি খোলস পাল্টিয়ে যারা বিভিন্ন লাভজনক পদ বাগিয়ে নিয়ে মোটাতাজা হয়েছে, ক্ষমতার পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে তারা আবারো খোলস পাল্টিয়ে আওয়ামী লীগের ঘাঁড় মটকাবে। তখন এই  অসহায় পাফাঁটা ত্যাগী কর্মীদেরই প্রয়োজন হবে। এসব কারণে তৃণমুলের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ-আর্তনাদ হলেও তারা না পারছেন প্রতিবাদ করতে না পারছেন মেনে নিতে ভঙ্গুর হৃদয়ে গুমরে গুমরে কাঁদছেন। তাঁদের কান্নায় রাজনৈতিক অঙ্গনের বাতাস ভারী হলেও  তল্পি বাহকদের মন গলছে না। তারা অবৈধ অর্থ আহরণের নেশায় মত্ত। এসব কারণে রাজনৈতিক অঙ্গনে ধীরে ধীরে আওয়ামী লীগ বিরোধীরা শক্ততিশালী হয়ে উঠছে।অন্যদিকে তারা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ায় জামায়াত-বিএনপির উর্বর ভুমিতে পরিণত হচ্ছে। অনেকক্ষেত্রে আত্মীয়তার সুত্র ধরে অথবা অর্থের বিনিময়ে এসব ক্ষমতাধরদের হাত ধরে এরা শামুক হয়ে আওয়ামী লীগের পেটে প্রবেশ করে কুঁরে কুঁরে খাচ্ছে, যা তারা বুঝতে পারছে না, যখন বুঝবে তখন দেখবে  খোসা হয়ে গেছে করার কিছুই থাকবে না। কিন্ত্ত তৃণমুলের বঞ্চিত এসব মুজিব সৈনিকেরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ যারা কখানো কোনো লোভ লালসায় গা ভাসিয়ে দিয়ে দল ত্যাগ করে না। অথচ রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ, সাংসদ, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র ও ইউপি চেয়ারম্যানগণ আওয়ামী লীগের, তাহলে জামায়াত-বিএনপি মতাদর্শীদের কিসের বিনিময়ে কারা দিলো এসব শুবিধা। তবে যারাই দিক যেভাবে দিক এর দায় নিবে কে ? প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ এসবের দায় তো পড়ছে আওয়ামী লীগের উপর তথা প্রধানমন্ত্রীর উপরেই বলে মনে করছেন তৃণমুল। এতে তল্পি বাহকেরা আর্থিকভাবে লাভবান হলেও ক্ষতির মুখে পড়ছে দল, তাদের ওপর অভিমান করে দলের ওপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে তৃণমুল। অন্যদিকে আগামিতে  উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন পদে বিপুল সংখ্যক জনবল নিয়োগের কথা। তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি এসব নিয়োগেও জামায়াত-বিএনপি মতাদর্শীরাই পচ্ছন্দের তালিকায় রয়েছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম রাব্বানী বলেন, তানোর আওয়ামী লীগের আদর্শিক, প্রবীণ-ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীরা চরম দুর্দীনে রয়েছে। তিনি বলেন, কিছু নেতার অর্থলিপ্সার কারণে নেতাকর্মীরা বড় অসহায় হয়ে পড়েছে। তিনি আগামিতে ভোটারদেরমানসিকতা ও তৃণমুলের মতামতের ভিত্তিতে  প্রার্থী মনোনয়নের  জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।এবিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও উপজেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল কারো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ জাতীয় আরও খবর
Translate »