মানিকগঞ্জে বিখ্যাত অবাক চা এবং রেস্টুরেন্টে পঁচা বাসি মাংস ও দুধ সংরক্ষণ করার অভিযোগে
৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্বোতিশ্বর পাল অভিযান পরিচালনা করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন,
দীর্ঘ দিন ধরে এমন অভিযোগ অবাক রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধে । অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও বিভিন্ন সময়ে মৃতপ্রায় ও দুর্গন্ধযুক্ত পচা ও বাসি মুরগী এবং গরুর মাংস দিয়ে খাবার পরিবেশন করে আসছে অবাক রেস্টুরেন্ট । অল্প টাকায় অসুস্থ ও মৃতপ্রায় গরু এবং মুরগী কিনে রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করে । ম্যাজিস্ট্রেট তার ফ্রিজের ভেতর পঁচা বাসি মাংস ও ভেজাল দুধ জব্দ করে।
এবিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জ্বোতিশ্বর পাল বলেন,
গোপন সংবাদ এর ভিত্তিতে আমরা অবাক রেস্টুরেন্টে অভিযান পরিচালনা করি।
অভিযানে যাওয়ার পরে অবাক রেস্টুরেন্টের মালিক অবাক পালিয়ে যায়। সরেজমিনে দেখা যায় তার রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করা ছিলো
আগের দিনের রান্না করা পঁচা বাসি মাংস, এবং কাচা মাংস যেখান থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিলো।
রেফ্রিজারেটরে অনেক দিনের দুধ মজুদ করা ছিলো।সাধারণত দুধ ৪ ঘন্টার বেশি ফ্রিজে রাখলে গুনগত মান নষ্ট হয়ে যায় সেখানে তার দোকানে ৪-৫ দিন আগের মজুদ করা দুধ ছিলো। আমরা সকল অস্বাস্থ্যকর জিনিস বাজেয়াপ্ত করি।
ভোক্তা অধিকার আইনে অবাক রেস্টুরেন্ট কে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দন্ডিত করা হয় এবং ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে আরো কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।অবাক রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার আতিকুর রহমান অর্থদণ্ডের টাকা পরিশোধ করে।