1. smsitservice007gmail.com : admin :
অধ্যক্ষের প্রতিবাদ নিয়ে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া জনমনে ক্ষোভ - সতেজ বার্তা ২৪
মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন
মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন

অধ্যক্ষের প্রতিবাদ নিয়ে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া জনমনে ক্ষোভ

আলিফ হোসেন,তানোরঃ
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৩
  • ১১৪ বার পঠিত
Exif_JPEG_420

রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী বাগমারার ভবানীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের আলোচিত অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) নুরুল হুদার প্রতিবাদ নিয়ে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষক-কর্মচারীদের মাঝেও মতবিরোধের সৃষ্টি হয়েছে, এতে কলেজে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট ও পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। অভিভাবকদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) নুরুল হুদা নিজের অপকর্স আড়াল ও প্রকৃত ঘটনা ধাঁমাচাপা দিতে। বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে মিথ্যা প্রতিবাদলিপি ছাপিয়েছেন। তার ছাপানো প্রতিবাদলিপি নিয়ে জনমনে নানা ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার সুত্রপাত হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রভাষক বলেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত করা হলেই সত্যতা পাওয়া যাবে।
এদিকে স্থানীয়রা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা সঙ্গে তারা জাকিয়া আক্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছেন।
প্রসঙ্গত, মোহনগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে শিক্ষক নিয়োগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। গত ২৩ অক্টোবর  সোমবার দুপুরে উপজেলার মুগাইপাড়া বাজারে এই সংবাদ সম্মেলন করেন, একই কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক ভুক্তভোগী শাহাদাত হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে শাহাদাত হোসেন তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, তাকে বিধি মোতাবেক মোহনগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে বিগত ২০১৬ সালের ৬ জানুয়ারী নিয়োগ প্রদান করা হয়। তারপর থেকে তিনি পাঠদানসহ অন্যান্য দায়িত্ব সুচারুরূপে পালন করে আসছেন। অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ অবসর গ্রহণের পর, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নূরুর হুদা নানা অজুহাতে তাকে পাঠদান থেকে বিরত রাখেন। তিনি বিগত  ২০২১ সালের ৮ মার্চ তার ইংরেজি প্রভাষকের বৈধ পদ শূন্য দেখান। যার জন্য নিরুপায় হয়ে তিনি মহামান্য হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। যার প্রেক্ষিতে সবশেষ ২০২৩ সালে ৩১ জানুয়ারী মহামান্য হাইকোর্ট নিয়োগ ও যোগদানে নিষেধাজ্ঞা জারী করেন।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বৈধ নিয়োগ প্রাপ্ত ইংরেজি প্রভাষকের (আমার) পদ শূন্য দেখিয়ে, জাকিয়া আক্তার নামের অপর একজনকে নিয়োগ প্রদান করেছেন বলে তিনি জানতে পেরেছেন। বর্তমানে দীর্ঘদিন চাকরি করেও বেতন-ভাতা না পাওয়ায় তিনি মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সে কারণে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। একই সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নূরুল হুদার শাস্তি দাবীও করেছেন। এ সময় ভুক্তভোগী মোহনগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক শাহাদাত হোসেনের পাশে ছিলেন গনিপুর ইউনিয়ন (ইউপি) আওয়ামী লীগের এক নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী ও রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলামপ্রমুখ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নূরুল হুদা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে  পূর্বের অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলতে বলে ফোন বন্ধ করে দেন। পরবর্তীতে
একাধিকবার চেষ্টা করেও তার সঙ্গে আর কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ জাতীয় আরও খবর
Translate »