আজ ১২ নভেম্বর (রবিবার) হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী শ্যামা পূজা (কালী পূজা) ও দীপাবলি অনুষ্ঠিত হবে।কার্তিক মাসের অমবস্যা তিথিতে শ্যামা বা কালী পূজা ও দীপাবলি অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
এদিন মা কালী বা শ্যামা মায়ের আরাধনা করা হয়। বেণী মাধব শীলের পঞ্জিকা অনুসারে কার্তিক অমাবস্যা তিথি পড়বে আজ ১২ নভেম্বর ২০২৩ বেলা ২ টা ৪৩ মিনিটে এবং অমাবস্যা তিথির অবসান হবে ১৩ নভেম্বর ২০২৩ রাত ২ টা ৫৬ মিনিটে।
দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালনের মাধ্যমে ভক্তের জীবনে কল্যাণের অঙ্গীকার নিয়ে পৃথিবীতে আগমন ঘটে দেবী শ্যামা বা কালীর। শ্যামা দেবী শান্তি, সংহতি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় সংগ্রামের প্রতীক।
হিন্দু পূরাণ মতে, কালী দেবী দূর্গারই একটি শক্তি। সংস্কৃত ভাষার ‘কাল’ শব্দ থেকে কালী নামের উৎপত্তি। কালী পূজা হচ্ছে শক্তির পূজা। জগতের সকল অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তিকে জাগ্রত করতেই কালীপূজা করা হয়।কালী দেবী তার ভক্তদের কাছে শ্যামা, আদ্য মা, তারা মা, চামুন্ডি, ভদ্রকালী, দেবী মহামায়াসহ বিভিন্ন নামে পরিচিত।
কালীপূজার দিন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের বাড়িতে ও শ্মশানে সন্ধ্যা থেকেই প্রদীপ জ্বালানো হয়। এর মধ্য দিয়ে তারা স্বর্গীয় পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদেরও স্মরণ করেন। এই আনুষ্ঠানিকতাকে বলা হয় দীপাবলি।
দুর্গাপূজার মতো কালীপূজাতেও গৃহে বা মণ্ডপে মৃন্মময়ী প্রতিমা নির্মাণ করে পূজা করা হয়। মন্দিরে বা গৃহে প্রতিষ্ঠিত প্রস্তরময়ী বা ধাতুপ্রতিমাতেও কালীপূজা করা হয়। মধ্যরাতে তান্ত্রিক পদ্ধতিতে মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। তবে গৃহস্থ বাড়িতে সাধারণত অতান্ত্রিক ব্রাহ্মণ্যমতে আদ্যাশক্তি কালীর রূপে কালীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
সারা দেশ সহ মানিকগঞ্জ জেলা সদরেও শ্যামা পূজা বা কালী পূজা অনুষ্ঠিত হবে।শহরের প্রান কেন্দ্র কালী মন্দির,শিববাড়ি,মত্ত সহ সদরের বিভিন্ন এলাকায় জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে আজ শুরু হবে শ্যামা পূজা (কালী পূজা) ও সন্ধায় জ্বলে উঠবে দীপাবলির আলো।
লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, কালী শ্মশানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। এ কারণে বিভিন্ন অঞ্চলে শ্মশানে মহাধুমধামসহ শ্মশানকালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ শামীম আহমেদ