1. smsitservice007gmail.com : admin :
তানোরে ফের সুজনবিরোধী প্রচারণা জনমনে ক্ষোভ - সতেজ বার্তা ২৪
শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২২ পূর্বাহ্ন
শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২২ পূর্বাহ্ন

তানোরে ফের সুজনবিরোধী প্রচারণা জনমনে ক্ষোভ

আলিফ হোসেন,তানোরঃ
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১৬৬ বার পঠিত

রাজশাহীর তানোরের রাজনীতিতে তরুণ নেতৃত্বের আইডল বিশিষ্ট সমাজসেবক, ব্যবসায়ী ও তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সম্পাদক আবুল বাসার সুজনকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে একটি অশুভচক্র আবারো নানা অপতৎপরতা শুরু করেছে। অভিযোগের তীর উঠেছে, প্রভাবশালী চেয়ারম্যানের দিকে যিনি নেপথ্যে থেকে এমন অপপ্রচারে রসদ জোগাচ্ছেন বলে মনে করছেন তৃণমুলের নেতাকর্মীরা। এদিকে সুজনের বিরুদ্ধে এমন অপপ্রচারে এবার খোদ দলের তৃণমুল নেতাকর্মীদের পাশাপাশি জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তানোরের রাজনৈতিক অঙ্গনে খুব অল্প সময়ে তরুণ সমাজের কাছে সুজন অপ্রতিদন্দী নেতৃত্ব হয়ে উঠেছে। যাদের নেপথ্যে মদদে সুজনের বিরুদ্ধে মানহানিকর ও মিথ্যা গুজব ছড়ানো হচ্ছে। তারা রাজনীতি করে যেখানে পৌঁছাতে চাই, সেখান থেকে সুজনের রাজনীতি শুরু। সুজনের আচারণ ও রাজনৈতিক দুরদর্শীতায় তৃণমুলে তরুণ সমাজের মধ্যে যে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে সেটা অনেকে মেনে নিতে পারছে না। সুজন তরুণ সমাজের প্রাণশক্তি ও সাহসের অনুপ্রেরণা। অন্যরা যেখানে ব্যর্থ সুজন সেখানেই সফল, যার প্রমাণ তানোর পৌরসভা নির্বাচন। পৌরসভা সৃষ্টির পর প্রথম বারের মতো আওয়ামী লীগের মেয়র নির্বাচিত হয়েছে, যার সিংহভাগ কৃতিত্ব সুজনের।
জানা গেছে, দেশের অধিকাংশ ভোটার তরুণ ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী। এরা জামায়াত-বিএনপির দুঃশাসন দেখেনি, দেখেছে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন ও অর্জন। ফলে এসব তরুণ ভোটারদের ঐক্যবদ্ধ করে নৌকার পক্ষে নিয়ে আশা সুজনের প্রধান টার্গেট। যেখানে তিনি শতভাগ সফল। তরুণ সমাজের এই জাগরণ ধরে রাখতে পারলে নৌকার বিজয় নিশ্চিত। এদিকে সুজনকে ঠেকাতে বিশেষ মহলের ইন্ধনে শুরু হয়েছে সুজন বিরোধী প্রচারণা। কখানো বলা হচ্ছে সুজন আওয়ামী লীগের কেউ না হয়েও আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে,অথচ সুজন তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সম্পাদক, কখানো বলা হচ্ছে স্কুল কলেজ ইজারা নিয়ে ৪০ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্যে করেছে, কিন্ত্ত স্কুল-কলেজ ইজারা নিয়ে কি নিয়োগ বাণিজ্যে করা যায়। যদি সেটা হয় তাহলে বিগত প্রায় ১৫ বছর কারা ইজারা নিয়েছিল। কখানো বলা হচ্ছে, হাট-ঘাট ব্যবসার পর আবুল বাশার সুজন গ্রান্ড ইন্টারন্যাশনাল (আবাসিক) হোটেল ব্যবসা শুরু করেছেন। যেখানে তানোরের অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। শান্ত, নিরিবিলি,পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও ইসলামি ভাবধারায় পরিচালিত হবার জন্য রাজশাহী অঞ্চলের মানুষের কাছে (হোটল গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল আবাসিক) এর একটা আলাদা সুখ্যাতি রয়েছে।
অথচ সেখানেও না কি রাত দিন সমানে চালছে মাদক এবং দেহ ব্যবসার কারবার ও পেশাদার যৌনকর্মীদের নিয়ে গড়ে তুলেছেন নেটওয়ার্ক। এমন মিথ্যা, কুরুচিপূর্ণ, মানহানিকর ও মানুষিক বিবেক বিবর্জিত প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। তাদের কাছে যদি এসবের সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্য থাকে। তাহলে হোটেলের পাশেই বোয়ালিয়া মডেল থানা। থানায় অভিযোগ করবেন। অথচ এসব অভিযোগের কোনো তথ্য-প্রমাণ নেই কারো কাছেই। শুধুমাত্র সাংসদের নির্বাচনী প্রস্তুতি কাজ দুর্বল করতেই
সুজনবিরোধী এসব প্রোপাগান্ডা। এখন প্রশ্ন হলো যাদের ইন্ধনে এরা এসব প্রোপাগান্ডা করছে, তাদের মুখোশ উম্মোচনের সময় এসেছে এটা সময়েরও দাবী। এমনকি সুজন তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সম্পাদক। অথচ তাকে উপজেলা যুবলীগের সম্পাদক বলে প্রচার করে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।
তৃণমুলের ভাষ্য, দল রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায়, এমপি, উপজেলা ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরাও সরকার দলীয় তার পরেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছিল অনেকটা অসহায়। আওয়ামী লীগবিরোধীরা তাদের সব সময় দমিয়ে রাখতেন। স্থানীয়ভাবে কর্মীদের সেল্টার দেবার মতো কেউ ছিলনা। এমনকি দল ক্ষমতায় থাকার পরেও উপজেলা চেয়ারম্যানের নিজ গ্রামে তার উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে, হামলা হয়েছে তৃণমুলের নেতাকর্মীদের ওপর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নেতাদের চরিত্র হনন করা ছিল সাধারণ ঘটনা।
এসব নিয়ে আওয়ামী লীগের আদর্শিক নেতা-কর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হলেও প্রতিবাদ করতে পারেনি।
স্থানীয় সাংসদের আহবানে সাড়া দিয়ে আবুল বাসার সুজন রাজনীতিতে সক্রিয় হবার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সেই দুঃসহ যন্ত্রনার দিন শেষ হয়েছে। এখন তাদের আঘাত করলে তারা পাল্টা আঘাত করতে পারে, তাদের এই সাহস ও অনুপ্রেরণার নাম সুজন। তানোর পৌরসভা নির্ভর রাজনীতি করতে গিয়ে, নেতাকর্মীসহ আম-জনতার কাছে সুজন এতোটাই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন, এখন তাকে উপজেলা জুড়ে রাজনীতি করার জন্য তৃণমুল একট্টা হয়ে প্রতিনিয়ত তার উপর চাপ দিচ্ছেন।
স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর আহবান ও দিকনির্দেশনায় তিনি ইতমধ্যে আদর্শিক ও মানবিক নেতৃত্বের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছেন। রাজনীতিতে স্বদিচ্ছা থাকলে  পদ পদবী না থাকলে বা জনপ্রতিনিধির চেয়ারে না বসেও মানুষের সেবা করা যায়, মানুষের কাছে আপন হয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করা যায় সুজন তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ইতমধ্যে তিনি দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণী-পেশার মানুষের হৃদয়ে পৃথক স্থান অধিকার করে নিয়েছেন। এরই পুরুস্কার স্বরুপ তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক পদের দায়িত্ব পেয়েছেন।
এদিকেে রাজনীতিতে সুজনের এমন অপ্রত্যাশিত উঙ্খানে একটি বিশেষ মহলের রাতের ঘুম হারাম হয়েছে এবং রাজনীতিতে জনসমর্থন হারিয়ে অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে। বিশেষ মহল রাজনীতিতে তাদের একচ্ছত্র আধিপত্য হারানোর জন্য সুজনকে দায়ি করে তার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা শুরু করেছে। তাদের ইন্ধনে একটি গোষ্ঠী সুজনের বিরুদ্ধে এসব প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। কিন্ত্ত কোনো কিছুতেই সুজনের অগ্রযাত্রা ঠেকাতে পারছে না। সুজনকে ঠেকাতে যারা মরিয়া এবার তাদের বিরুদ্ধে আমজনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।
এবিষয়ে আবুল বাসার সুজন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর তিনি একজন কর্মী। তিনি বলেন, আমাদের সবার অভিভাবক সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরীর সিদ্ধান্তের বাইরে তার কোনো কথা নাই, তবে তিনি চাইলে যেকোনো দায়িত্ব নিতে তিনি প্রস্তুত রয়েছেন। তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধ করে এমপি মহোদয়ের পক্ষে মাঠে নামানোয় একটি চক্র সহজভাব মেনে নিতে পারছেন না। তারা ইন্ধন দিয়ে এসব অপপ্রচার করাচ্ছে। তিনি বলেন, তাদের এসব নিয়ে ভাবার সময় নেই, তাদের একটাই ভাবনা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো প্রধানমন্ত্রী এবং এমপি ফারুক চৌধুরীকে আবারো এমপি নির্বাচিত করা।
এ জাতীয় আরও খবর
Translate »