রাজশাহীর তানোরের কলমা ইউনিয়নের (ইউপি) নড়িয়াল গ্রামে তিন ফসলি জমিতে অবৈধ পুকুর খননের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গ্রামবাসির মাঝে চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী অবৈধভাবে ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধ রয়েছে। কোথাও কোনো পুরাতন পুকুর খনন করতে চাইলে তা যথাযথ নিয়ম মেনে উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করে তারপর অনুমোদন নিতে হয়। সেখানেও বলা থাকে পুকুর খননের মাটি যেনো কোনো পাকা বা কাঁচা রাস্তায় না উঠে।
অন্যদিকে কৃষি অধিদপ্তর বলছে, জমির উপরিভাগের ৬ থেকে ১০ ইঞ্চি মাটিতে জৈব পদার্থ থাকে। উপরিভাগ কাটার ফলে জমির ফসল উৎপাদনের ক্ষমতা হ্রাস পায় এবং জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট হয়। তাই ফসলি জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি (টপসয়েল) কাটার কোনো সুযোগ নাই এটা দন্ডনীয় অপরাধ।
স্থানীয়রা জানান, দরগাডাঙা বাজারের কথিত পল্লী চিকিৎসক আক্কাশ আলী। তিনি ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতার মদদে নীতিমালা লঙ্ঘন করে তিন ফসলি জমিতে পুকুর খনন। এবং সেই মাটি দিয়ে অপর ফসলি জমি ভরাট করছেন। এদিকে এসব মাটি বহনে অবৈধ ট্রাক্ট্ররের বিকট শব্দ ও ধুলা-বালিতে জনজীবন দুর্বীসহ হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, যেখানে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা রয়েছে এক ছটাক কৃষি জমি নষ্ট করা যাবে না। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা উপেক্ষা করে সেই দলেরই দায়িত্বশীল কতিপয় নেতা কি ক্ষমতার জোরে কৃষি জমি ধ্বংসে মদদ দিচ্ছেন।
তাহলে এরা কি প্রধানমন্ত্রীর থেকেও শক্তিশালী ? এবিষয়ে জানতে চাইলে কলমা ইউপি বিটের (দায়িত্বপ্রাপ্ত) পুলিশ কর্মকর্তা এসআই জাহাঙ্গীর বলেন, খবর পাওয়া মাত্র অবৈধ পুকুর খনন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এবিষয়ে ভেঁকু দালাল আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করা হচ্ছে। এবিষয়ে আক্কাশ আলী বলেন, পুকুর নয় তিনি তার উঁচু জমির মাটি কেটে নিচু জমি ভরাট করছেন বাড়ি করার জন্য।