রাজশাহী -১ ( তানোর-গোদাগাড়ী) ভিআইপি এই সংসদীয়  আসনে এক টানা পঞ্চম বার দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী। সোমবার ঢাকা থেকে বিমান যোগে তিনি রাজশাহী আসেন। এদিকে তাকে বরণ করতে দুপুর থেকেই শাহমুখদম বিমান বন্দরে মানুষের ঢল নামে। করা হয় স্মরণকালের সর্ববৃহৎ শোভাযাত্রা। নেতাকর্মী ও সাধারণের স্বত্বঃস্ফুর্ত অংশ গ্রহণের এই শোভাযাত্রা  বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসকে স্মরণ করিয়ে দেয়।

অন্যদিকে বিমান থেকে নামার পর পরই উপস্থিত নেতাকর্মীদের স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো বিমান বন্দর এলাকা। হাজার হাজার নেতাকর্মীর ফুলেল শুভেচছা ও ভালবাসায় সিক্ত হন ফারুক চৌধুরী। এক পর্যায়ে নেতাকর্মীদের চাপে এমপি ছাদ খোলা গাড়ি থেকে হ্যান্ড মাইকে ঘোষণা করেন রাজশাহীর বাসভবনে গিয়ে সবার শুভেচ্ছা গ্রহণ করা হবে।

এসময় উপস্থিত  ছিলেন তানোর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না, গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান

জাহাঙ্গীর আলম, তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান আবু বাক্কার ও  তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সম্পাদক আবুল বাসার সুজনপ্রমুখ

জানা গেছে, এক টানা পঞ্চম বার ফারুক চৌধুরী দলীয় মনোনয়ন পান। তিনবারের তিনি নির্বাচিত এমপি এবং একবার শিল্পপ্রতি মন্ত্রীর দায়িত্ব পান।বিগত ২০০১ সালে বিএনপির হেভিওয়েট নেতা অপ্রতিদন্দী নেতৃত্ব ডাকমন্ত্রী প্রয়াত ব্যরিস্টার আমিনুল হকের কাছে বির্তকিত ফলাফল ঘোষণায় অল্প ভোটের ব্যবধানে

ফারুক চৌধুরী পরাজিত হন। কিন্ত্ত পরাজিত হলেও তিনি রাজনীতির মাঠ ছাড়েননি। নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় পৌচ্ছে আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক তৈরী করেছেন। যার ফলশ্রুতিতে বিগত ২০০৮ সালে বিপুল ভোটের বিএনপির হেভিওয়েট নেতা অপ্রতিদন্দী নেতৃত্ব প্রয়াত ব্যারিস্টার আমিনুল হককে পরাজিত করে সাংসদ নির্বাচিত হয়ে সকলকে হতবাক করে দেন। তিনিই প্রথম তানোরের বাসিন্দা হিসেবে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। এর পর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। আসন্ন ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারীর নির্বাচনেও তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হবেন বলে মনে করছেন নেতা ও কর্মী-সমর্থকগণ।

এদিকে গত সোমবার সকাল থেকেই তানোর ও গোদাগাড়ীর হাজার হাজার নেতাকর্মী বিমানবন্দর এলাকায় অবস্থান নেন তাকে বরণ করতে। এদিন তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন, কলমা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি)  চেয়ারম্যান  আওয়ামী লীগ নেতা খাদেমুন নবী বাবু চৌধুরী,  তানোর পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আসলাম উদ্দিন, সম্পাদক আবুল বাসার সুজন, মুন্ডুমালা পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আমির হোসেন আমিন, সম্পাদক হোসেন মোহাম্মাদ মুন্টু, পাঁচন্দর ইউপি চেয়ারম্যান  আব্দুল মতিন, পাাঁচন্দর উত্তর শাখার সভাপতি হাজী ইসরাইল হোসেন, চান্দুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান  মজিবর রহমান, তালন্দ ইউপি চেয়ারম্যান নাজিমুদ্দিন বাবু,  কামারগাঁ ইউপি চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বি ফরহাদ, কামারগাঁ  উত্তর শাখা সভাপতি  আলাউদ্দিন আলী প্রামানিক, সরনজাই ইউপি সভাপতি আব্দুল হান্নান, সম্পাদক আতাউর রহমান, কলমা ইউপি আওয়ামী লীগ  পূর্ব শাখার সভাপতি আব্দুর রাহিম, পশ্চিম সভাপতি মুনসুর রহমান, তালন্দ ইউপি আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল করিম, সম্পাদক  আবুল হাসান, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগ  সভাপতি শামসুল ইসলাম, সম্পাদক রামিল হাসান সুইট, তানোর পৌর যুবলীগ সভাপতি কাউন্সিলর রোকনুজ্জামান জনি, সম্পাদক আলফাজ, মুন্ডুমালা পৌর যুবলীগ সভাপতি আবু রায়হান তপন, সম্পাদক কাউন্সিলর বোরহান উদ্দিন, কলমা ইউপি সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তানভীর রেজা, পৌর সেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি সিবলন, পাচন্দর ইউপি সভাপতি রাব্বি আল আমিন প্রমুখ।

এদিকে বিমান বন্দর যাবার পুর্বে কামারগাঁ ইউপির মাদারীপুর বাজারে কামারগাঁ উত্তর শাখা সভাপতি আলাউদ্দিন আলী প্রামানিক বলেন, টানা পঞ্চম বারের মত দলীয় মনোনয়ন পেয়ে তিনবারের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বরেন্দ্র অঞ্চল পোড়া মাটির মানুষ শহীদ পরিবারের সন্তান ফারুক চৌধুরী। আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় ভোটে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হবেন এমপি ফারুক চৌধুরী। তাকে বিজয়ী করে আগামীর মন্ত্রীসভায় দেখতে চায় আপামর বরেন্দ্র অঞ্চলের আমজনতা। তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সম্পাদক আবুল বাসার সুজন বলেন, বিগত প্রায় দু বছর ধরে এমপি মহোদয় নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। তিনি দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের কাছে অনুরোধ করে বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং দেশরত্নের ঘোষণা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নৌকার কোনো বিকল্প নেই। উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বলেন, এই আসনটি ভিআইপি আসন হিসেবে ধরা হয়। বিগত সময়ে এই আসন থেকে নির্বাচিত এমপিরা মন্ত্রী হয়েছেন। সুতরাং আগামী ৭ জানুয়ারীর ভোটে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করবেন ইনশাল্লাহ। তিনি বলেন, তিনি তিনবারের সাংসদ ও একবার শিল্পপ্রতি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এমপি ফারুক চৌধুরীর পুর্ণ মন্ত্রী হবার সব যোগ্যতা রয়েছে। দল ও বরেন্দ্র অঞ্চলের  মানুষের প্রাণের দাবী আগামীতে তাকে পুর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়ে স্মার্ট তানোর-গোদাগাড়ী বিনির্মানের সুযোগ করে দিবেন দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমি দলীয় নেতাকর্মীদের অনুরোধ করে বলবো, সকল ভেদাভেদ ভূলে আসুন এমপি ফারুক চৌধুরীকে চতুর্থ বারের মত সাংসদ নির্বাচিত করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ নভেম্বর মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন, যাচাই বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, আপিল গ্রহণ ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, প্রচারনার শেষ দিন ৫ জানুয়ারি, ভোট গ্রহণ ৭ জানুয়ারি।