প্রিন্ট এর তারিখঃ অক্টোবর ২২, ২০২৪, ১০:২৭ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জানুয়ারি ২৫, ২০২৪, ৮:৫০ অপরাহ্ণ
তানোরে আলুখেতে মড়ক ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা
রাজশাহীর তানোরে আলুখেতে পচন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। কিন্ত্ত কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে পাচ্ছেন কৃষকেরা। এতে কৃষি বিশেষজ্ঞ পরামর্শ ব্যতিত বালাইনাশক ব্যবসায়ীদের কথা মতো অনুমান নির্ভর হয়ে কৃষকেরা বালাইনাশক প্রয়োগ করে কাঙ্ক্ষিত ফল পাচ্ছেন না। ফলে আলুচাষিরা হতাশ ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা।
জানা গেছে, উপজেলার সরনজাই ইউপির সিধাইড় মাঠে বিস্তীর্ণ আলুখেতে পচন রোগ দেখা দিয়েছে।এছাড়াও পাঁচন্দর ইউপির যোগীশো মাঠের আলুখেতে পচন রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। যোগীশো মাঠে ৩০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন কৃষক রফিকুল ইসলাম, ৬ বিঘা জমিতে আক্কাস আলী ও প্রায় ৩০ বিঘা জমিতে আলুচাষ করেছেন কৃষক শরিফুল ইসলাম। তারা বলেন, যোগীশো মাঠে প্রায় ২০০ বিঘা জমির আলুগাছে পচন রোগ দেখা দিয়েছে। এতে ফলনহানির আশঙ্কায় তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অথচ কৃষি বিভাগ নির্বিকার রয়েছে। কৃষকদের সচেতন বা মাঠ পরিদর্শনে কৃষি বিভাগের দৃশ্যমান তেমন কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে কৃষকেরা অনুমান নির্ভর বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক ব্যবহার করছে।
সরেজমিন উপজেলার কাঁমারগা ইউপির ধানুরা মাঠে দেখা গেছে, অধিকাংশ আলুখেতে পচন রোগে আক্রান্ত হয়ে আলুগাছ পচে (মরে) যাচ্ছে। কৃষকরা অনুমান নির্ভর হয়ে উচ্চ দামে বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক ব্যবহার করে আলুগাছ রক্ষা করতে পারছে না।এতে চাষীদের পকেট কাটা যাচ্ছে আর ব্যবসায়ীদের পকেট ভরছে। ওই মাঠের আলু চাষি গোকুল গ্রামের কৃষক সাহিন বলেন, এবার তিনি ৫০ বিঘা জমিতে আলুচাষ করেছেন। পচন রোগে ইতিমধ্যে তার আলুখেতের সিংহভাগ গাছ পচে নষ্ট হয়ে গেছে। একই মাঠের কৃষক শরিফুল ইসলাম বলেন, পচন রোগে আক্রান্ত তার আলুখেতে বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক ব্যবহার করেছেন, কিন্তু তাতে কোনো কাজ হচ্ছে না। তিনি বলেন, কৃষি বিভাগের (উপসহকারী কর্মকর্তা) মাঠকর্মীদের নাগাল পাচ্ছেন না কৃষকরা, ফলে তারা বাধ্য হয়ে অনুমান নির্ভর কীটনাশক ব্যবহার করছেন। এতে কীটনাশক ব্যবসায়ীরা লাভবান হলেও কপাল পুড়ছে কৃষকের। চলতি মৌসুমে যেসব আলুচাষী জমি ইজারা নিয়ে আলুচাষ করেছেন প্রতি বিঘায় এখন পর্যন্ত তাদের প্রায় ৫০ হাজার টাকা ও নিজস্ব জমিতে প্রতি বিঘায় প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। নানা প্রতিকুলতার কারণে এবার আলুচাষের লক্ষ্যমাত্রা পুরুণ
হয়নি।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলমি মৌসুমে ১৩ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৬০ হেক্টর জমিতে কম চাষ হয়েছে। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, তার জানা মতে কোথাও আলুগাছে পচন রোগ ধরেনি আলুর গাছ ভালো অবস্থায় আছে, আলুগাছে পচন রোগ দেখা দিলে কৃষকরা যদি তাদের কাছে পরামর্শ নিতে না আসেন তাহলে তো তাদের করণীয় কিছু নাই। তিনি বলেন, তার জানা মতে এখনো তানোরের কোথাও আলুগাছে পচন রোগে আক্রান্ত হওয়ার কোনো খবর তার কাছে নাই।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ শামীম আহমেদ
সর্বসত্ব সংরক্ষিত@সতেজ বার্তা ২৪ .কম-২০২১-২৩