রাজশাহীর তানোরে রাস্তার ধারের প্রায় শতবর্ষী ৩টি খাড়া পরিপক্ক তাজা বড় সাইজের গাছ গোপণে নিলামের অভিযোগ উঠেছে।এদিকে পরিপক্ক, তাজা খাড়া এবং প্রায় শতবর্ষী এসব গাছ ঝুঁকিপুর্ণ দেখিয়ে, গোপণে নিলামের খবর ছড়িয়ে পড়লে, জনমনে নানা প্রশ্ন ও মিশ্রপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার তানোর-কলমা রাস্তার আজিজপুর একটি তেঁতুল গাছ, অমৃতপুর তেঁতুলতলা একটি তেঁতুল গাছ ও দরগাডাঙা হাটে একটি কড়ই গাছ। তাজা ও পরিপক্ব এসব গাছ ঝুঁকিপুর্ণ দেখিয়ে
নামমাত্র মূল্য গোপণে নিলাম দেয়া হয়েছে।
এদিকে শতবর্ষী এসব গাছ কাটা স্থানীয় সাংসদের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি গাছ কাটা বন্ধ করে দিয়েছেন।স্থানীয় সাংসদের এমন পদক্ষেপের সচেতন মহল ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএমডিএ’র এক কর্মকর্তা বলেন, স্থানীয়ভাবে ঝড়েপড়া বা মরা ঝুঁকিপুর্ণ গাছ নিলাম দেয়া যায়, তবে পরিপক্ক তাজা খাড়া গাছ নিলামের কোনো সুযোগ নাই। এর জন্য জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অনুমতির প্রয়োজন হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে প্রকাশ্যে নিলাম ডাক দেয়া হলে এসব গাছের মুল্য প্রায় লাখ টাকা হতো। কিন্ত্ত মাত্র ৩৫ হাজার টাকায় পচ্ছন্দের ব্যক্তিকে নিলাম দেয়া হয়েছে। এতে সরকার বড় অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে। অন্যদিকে পরিবেশ রক্ষায় সরকার যখন বৃক্ষরোপণ অগ্রাধিকার দিয়েছেন। তখন কালের স্বাক্ষী এসব গাছ নিধন করায় পরিবেশবিদদের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি উপজেলা ভূমি অফিস থেকে গোপণে মাত্র ৩৫ হাজার টাকায় এসব গাছ নিলাম দেয়া হয়েছে।কিন্ত্ত পত্রিকায় নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ বা ঢোলসহরত এমনকি এলাকায় মাইকিং করা হয়নি।স’মিল মালিক এমদাদ আলী বলেন, কোনো বিবেচনাতেই কালের স্বাক্ষী এসব গাছ নিলাম বা কাটা উচিৎ হয়নি। তিনি পরিবেশ অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গাছ কাটা শ্রমিক বলেন কাগজকলমে ৩৫ হাজার টাকা দেখানো হলেও এসব গাছের দাম আরো বেশী হবে। স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, কালের স্বাক্ষী এসব গাছ না কেটে কিভাবে রক্ষা করা যায় সেই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
এবিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আবিদা সিফাত বলেন, এলাকাবাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বনবিভাগের দেয়া মুল্য এবং (ইউএনও) মহোদয়ের সঙ্গে আলোচনা করে নিয়ম মাফিক গাছ নিলাম দেয়া হয়েছে, এখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ নাই। এবিষয়ে গাছের ক্রেতা আফজাল হোসেন বলেন, তিনি নিয়ম মেনে ভুমি অফিস থেকে এসব গাছ নিলামে কিনেছেন।