রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাট পৌর বিএনপির সম্পাদক হাবিবুর রহমান ও তার ভাই ইসমাইল হককে মাছ লুটের অভিযোগে আটক করেছে পুলিশ। গত ৩০ জানুয়ারী মঙ্গলবার কাঁকটহাট ফাঁড়ি পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাকড়ি এলাকা থেকে তাদের আটক ও জেলহাজতে প্রেরন করেছেন। এদিকে তাদের দু-ভাইয়ের আটকের খবরে কাঁকনহাটের সাধারণ মানুষ মিষ্টি বিতরণ করেছে।
জানা গেছে, দামকুড়া মধুপুর এলাকার
মৃত আব্দুল মজিদের পুত্র হাফিজুর রহমান। গোদাগাড়ীর ইয়াজপুর মৌজায় প্রায় ৮ একর আয়তনের একটি পুকুর ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করছেন। কিন্ত্ত গত ১৭ জানুয়ারী বুধবার গভীর রাতে হাবিবুর রহমান (৪২) ও তার ভাই ইসমাইল হক (৫৮), তারা একদল সন্ত্রাসী নিয়ে জোরপূর্বক ওই পুকুর থেকে প্রায় ১২০ মণ মাছ লুট করেছে। যার বাজার মুল্য প্রায় ২৫ লাখ টাকা। এ ঘটনায় গত ২৫ জানুয়ারি বুধবার হাফিজুর রহমান বাদি হয়ে গোদাগাড়ী থানায় তাদের দু ভাইয়ের বিরুদ্ধে মাছ লুটের মামলা করেন। যাহার মামলা নম্বর-৪১।
জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার, বাখরআলী চরবাগডাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র হাবিবুর রহমান ও ইসমাইল হক। তবে এখন কাঁকনহাট পৌরসভার ব্রাম্ম্রনগ্রাম মহল্লায় বসবাস করছেন। তাদের এক ভাই পুলিশের সহকারী দারোগা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মহল্লাবাসী জানান, দারোগা ভাইয়ের দাপট দেখিয়ে হাবিবুর ও ইসমাইল এলাকার সাধারণ মানুষকে শোষণ করছেন। চাকরি, বিদেশ পাঠানো ইত্যাদি প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।এছাড়াও তারা দুই ভাই মাদক ব্যবসা করেন বলেও মহল্লাবাসীর মাঝে আলোচনা রয়েছে। অন্যদিকে বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটুক্তি করার অভিযোগ রয়েছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে কাঁকনহাট পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ মুহাঃ আব্দুল করিম বলেন, পুকুরের মাছ লুটের মামলায় তাদের আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা
হয়েছে।