রাজশাহীর তানোরে নিজ বাড়িতে জম্পেশ দেহব্যবসার অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার ভাই আবুল কাশেমকে আটক করেছে পুলিশ। গত ২ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে কাশেমকে আটক করেছেন। এদিকে কাশেমের আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) কৃষ্ণপুর গ্রামের হাজী ইমান আলীর পুত্র আবুল কাশেম। তার বড় ভাই সাবেক ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ও ছোট ভাই রাব্বি আল-আমিন ইউপি স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি।
একাধিক গ্রামবাসী জানান, রাব্বি আল-আমিন ও বখাটে হাবিবুর রহমানের নেপথ্যে মদদে কাশেম দীর্ঘদিন যাবত নিজ বাড়িতে জম্পেশ দেহব্যবসা ও মাদকসেবনের আসর বসিয়ে আসছে। কিন্ত্ত তাদের দাপটের কারণে কেউ প্রকাশ্যে কোনো প্রতিবাদ করতে পারে না। কেউ প্রতিবাদ করলেই ধর্ষণ মামলার হুমকি। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে নারীদের নিয়ে এসে তার বাড়িতে রাখেন এবং মুঠোফোনে যোগাযোগ করে খদ্দেরদের বাড়িতে নিয়ে আসেন। সেখানে টাকার বিনিময়ে নারীসঙ্গ উপভোগ ও নিরাপদে মাদকসেবন করা যায়। তারা বলেন, কাশেমের পুরো পরিবার এই অসামাজিক কার্যকলাপে সম্পৃক্ত রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামবাসি বলেন, রাব্বিল ও হাবিবুর অভিনব কৌশলে
আবুল কাশেমের বাড়ি থেকে সুন্দরী নারীদের রাজশাহীর একটি আলোচিত আবাসিক হোটেলে সরবরাহ করে। তারা রাজনৈতিক প্রভাববিস্তার করে এসব অপকর্ম করে আসছে। এবিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহিম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আবুল কাশেমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি রাব্বি আল-আমিন সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তারা নিজেরাই কাশেমকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন।